Wednesday, December 7, 2016

বোনের সাথে প্রেম

আম ার নাম আশু।বাড়ি চাকদা। পড়ি কলকাতার একটা নামি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ইলেক্ট্রনিক্স আমার সাবজেক্ট। আমার ছোটবেলা থেকেই নিজের মাসির মেয়ে মনীষার ওপর খুব একটা টান ছিল। এই গল্পও তার ই। আমার মাসির মেয়ে থাকে কৃষ্ণনগর এ। আমি পড়ি থার্ড ইয়ার এ। আর ও সেকেন্ড ইয়ার এ ইংলিশ নিয়ে।
প্রথম এ ভাবতাম এই টান এই ছহুকছুকানি শুধু বোধয় আমার ই। কিন্তু আসলে তা মটেই নয়। ওর মধ্যেও আমার জন্য সেরকম ক্ষুধা ছিল। আমাকে দেখতে খুব খারাপ নয়। পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি লম্বা। শরীর স্বাস্থ্য ভালই। আমি খুব ফর্সা। সবাই বলে পুরো বিদেশি। চোখ তাও ভীষণ কটা। আমার এখন ও মনে পড়ে ছোট বেলায় আমাকে অনেকে জনটি রোডস বলত। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন থেকেই আমার মনীষার ওপর একটা আলাদা রকম ভালবাসা অনুভব করি। প্রথম প্রথম অত পাত্তা না দিলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে সাথে বুঝি আমার নিজের মাসির মেয়ের ওপর একটা আলাদা রকম অনুভব আমি না চাইতেও গরে উঠেছে। ভাল খারাপ ঠিক বেঠিক বিচার করার বয়স সেটা নয় তাই যা হওয়ার তাই হল। তবে আমার বোন মনীষা ওর ডাক নাম পরী ও যে আমাকে আমার মত করেই দেখে সেটা বুঝতে পারলাম অন্যদিন আমি আমার বোন ফোনে খুব কথা বলতাম। এখন ও বলি। একদিন ফোনে কথা বলতে বলতে ও আমায় জিজ্ঞেস করল আচ্ছা আশু তোর কাকে সব চেয়ে বেশি ভাল লাগে জীবনে। বলে ও আমায় চার জনের নাম বলল। চারজন এর মধ্যে তিন জন হল আমার বন্ধু যাদের কে ও চেনে আমার কাছে গল্পও শুনে। আর একজনের নাম ও বলল সেটা বলল ও নিজের নাম। আমি ঠিক বুঝলাম না ও আমার সাথে মজা করছে না সত্যি ও একটু ও ও সিরিআস। আমি না ঠিক কি বলব বুঝে উঠেতে পারলাম না একদম। আমি বুঝে উঠতে পারলাম না আমার কি বলা উচিত। আমার মনে সূর্য দেখা দিয়েছিল বটে যে কিছু হতে পারে কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছিলাম। শেষে আমি বলেই দিলাম আমার ওকে পছন্দ। কিছুক্ষণ ফোনের ও প্রান্ত চুপ পুরো। আমি ভাবলাম গেল জন্ডিস ব্যাপার না হয়ে যায় শেষে। কিন্তু আমি অবাক গেলাম যখন ও বলল ‘আমি জানতাম উত্তরটা তাও জিজ্ঞেস করলাম’। আমি বললাম তোর উত্তর টাও শুনি। তখন ও বলল ‘মূর্খ কিছুই বুঝিস না যেন?’ আমি বললাম না বুঝিনা কিছু। আমি পরিস্কার ভাবে শুনতে চাই। তখন ও বলল যেটা সেটা আমি শুনে আমি ঘেমে গেলাম পুরো। ও বলল – যেদিন থেকে আমি মেয়ে থেকে নারী হয়েছি, যেদিন থেকে আমার যৌবন এসছে শরীরে সেদিন থেকেই আমি প্রতিদিন স্বপ্নে তোকে দেখেছি। আমি জানিনা কোনটা ভুল বা কোনটা ঠিক আমি তোকে খুব ভালবাসি। আমি তোকে চাই। সবরকম ভাবে চাই।এর পর আর কোন বাধা রইল না আমার এগোতে। আমিও সবরকম ভাবে ওকে পেতে চাইছিলাম। শরীর আর মন দুরকম ভাবেই। তবে আমাদের দেখা হতনা একদম। আমার থেকে ওর বাড়ি খুব দূর না হলেও কোনদিন আলাদা ভাবে দেখা করার সুযোগ পাইনি। সেই সুযোগ চলে এল হটাত করেই। আমার তখন সেম এর পরীক্ষা শেষ। বাড়িতে কোন কাজ নেই। তাই মাকে বললাম চল কদিন মাসির ওখানে থেকে আসা যাক। আমি মনীষা কেও জেনে নিয়েছিলাম যে ওর পরীক্ষা শেষ। তাই দুজনের ই সময় অনেক এখন। আর ইচ্ছাও অনেক। মা রাজি হয়ে গেলো, আর ওদিকে মাসিও। তবে আমার মা থাকতে পারবে না। কারন মায়ের অফিস এ অনেক কাজ আছে তাই। মা আমাকে বলল তুই থাকতে পারবি তো এখানে একা? আমি বললাম, পারব না মানে! আলবৎ পারব। ব্যাস তার পর মা আমাকে রেখে আসল মাসির বাড়ি। তবে আমি খুব একা টা সুবিধা হল না আমার, কারন মাসি আমাদের কে কোনওসময় একলা ছাড়েনা। মাসি বাথ্ররুম গেলে সেই সময় টুকু একা পাওয়া যায় বটে কিন্তু তা যথেষ্ট নয় একেবারেই। আমার মেসো অবশ্য সারারাদিন থাকেনা বাড়িতে। কাজপাগল মানুষ ভীষণ। সময় নেই মাসির জন্য। আমার জন্য বা নিজের মেয়ের জন্য। কিন্তু একদিন হটাত মাসির শ্বশুরবাড়ির দিকের এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পরল। মাসি কে জেতেই হবে। এদিকে আমি আর মনীষা বাড়িতে একা। কিন্তু কিছু করার নেই। মেসো অফিস থেকে অর্ধেক কাজ করে বেরিয়ে এল। আর মাসি কে আমি বাস স্টপ এ তুলে দিয়ে এলাম। মাসি বলল রাত্রের দিকে ফিরে আসবে। আমি মনে মনে বললাম উফফ বাঁচলাম। একটু একান্তে সময় পাওয়া যাবে আমার প্রেয়সীর সাথে সময় কাটানোর। জীবনে কোনদিন সেক্স করিনি, যদিও ব্লু ফিল্ম দেখেছি। তাই কি মনে হল বুদ্ধি করে একটা কনডম এর বাক্স কিনে নিলাম। চারটে থাকে দোকানদার বলল। আমি মনে মনে বললাম অনেক। আর হাসি মুখে চলে এলাম মাসির বাড়ি

No comments:

Post a Comment